মহেশখালী কক্সবাজার।
সরকার ৪০ দিনের কর্মহীন দরিদ্র শ্রমজীবীদের জন্য কাজের সুযোগ চালু করলেও ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্প কিছু অসৎ জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যান মেম্বারের কারণে বদনামের নামের ভাগীদার হতে হচ্ছে বর্তমান সরকারকে!
সরকারী প্রকল্প বাস্তবায়ন জেলার কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় ওই কর্মসূচির কাজ প্রত্যেক ইউনিয়নে বরাদ্দ দেওয়া হয়।
কিন্তু হতদরিদ্র জনগণ কাজ শেষে ব্যাংকে টাকা উত্তলন করতে গিয়ে নুন্যতম নামে মাত্র টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হরিলুট করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
ও-ই টাকার ভাগ যাচ্ছে বড় নেতা ও রাজনীতিবিদ এবং স্থানীয় প্রশাসন।
এমন অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা মিলে ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের রেজাউল করিম মেম্বার, খুশিদা মহিলা সংরক্ষিত শ্রমিকদের কাজ না করেই ভাতা উত্তোলন,যারা কাজ করেছে তাদের নুন্যতম টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে বাকী টাকা নিজের থলে!
এবং যে পরিমাণ শ্রমিক দেওয়ার কথা তা-না দিয় অল্পসংখ্যক শ্রমিক নিয়োগ করে কাজ সব কাজ শেষ করেছে মর্মে ছাড় পত্র নিয়ে ব্যাংক হতে টাকা উত্তলন করে নিয়ে বলে সূত্রে প্রকাশ।
এমন অনিয়মের মাধ্যমে কাজ দেখিয়ে টাকা উত্তোলনসহ হতদরিদ্রদের টাকা যাচ্ছে প্রভাবশালী ও সংশ্লিষ্টদের পকেটে।
জানা গেছে, অতিদরিদ্র শ্রমিকদের চল্লিশ দিনের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে দাতা সংস্থার আর্থিক সহায়তায় এ প্রকল্প চালু করে সরকার। কিন্তু উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার, চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্টসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা অনিয়মের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছেন দরিদ্রদের এ অর্থ।
স্থানীয় প্রশাসন ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রকল্প সংশিষ্টদের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও জালিয়াতির কারণে ভেস্তে যাচ্ছে সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
উপজলার ৮টি ইউনিয়নের ধলঘাটা হোয়ানক ইউনিয়নে, কুতুজোম ইউনিয়নের কিছু কর্মসৃজনের কাজ দৃশ্যমান হলেও বাকি ৫টি ইউনিয়নে কাজ সম্পূর্ণ অদৃশ্য বলে প্রত্যক ইউনিয়নের সচেতন জনগণ বলেন। এমন অনিয়ম দূর্নীতির ফলে বছরের পর বছর হতদরিদ্রের ন্যায্য এসব লাখ লাখ টাকা ইউপি চেয়ারম্যান, ব্যাংক ম্যানেজার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের পকেটে।
উপজেলার (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) এক রাজনীতিবিদ জানান, সর্বশেষ ২০১১ সালের দিকে কর্মসৃজন কর্মসূচি (কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা’র) কাজ কিছু কিছু ইউনিয়নে করা হতো এরপর আস্তে আস্তে সেই প্রকল্পের কাজকে অদৃশ্য রেখে বছরে হতদরিদ্রের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যাংক ম্যানেজার, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যোগসাজশে নিজেদের পকেটস্থ করছেন। তিনি আরো বলেন, প্রথমত ইউনিয়নের প্রতিটা ইউপি সদস্যকে সভাপতি করে আনুমানিক ৪০ সদস্য বিশিষ্ট একটি করে কমিটি গঠনের মাধ্যমে এই কার্যপ্রণালি সম্পন্ন করা হতো, এবং প্রতিটা শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ধার্য্য ছিলো ৩৫০ টাকা।
বৈশ্বিক সম্প্রতিকাল সৃষ্ট মহামারী করোনার প্রকোপে কবলে পড়ায় সরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ক্ষয়ক্ষতির কথা বিবেচনায় রেখে যেখানে ৩৫০ টাকা বর্তমানে প্রতি শ্রমিকের মজুরি প্রদান করিত সে খানে ৪০০ টাকায় উন্নতি করে।
এখন দেখা মিলে দৈনিক ১০০ টাকা করে মজুরি প্রদান করে বাকী টাকা —
বাদ যায়নি চেয়ারম্যান মেম্বারদের ভাই,বোন বউ-বাচ্চা নিকটতম আত্মীয়স্বজন, ভিআইপি নামে বেনামে হতদরিদ্র কর্মসৃজন প্রকল্পের কার্ডের মাধ্যমে দূর্নীতির মহোৎসব!
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে বলেন, প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। টাকা হরিলুট এখন সম্ভব না। কারণ প্রতিটা শ্রমিকের মজুরি নিজেরাই তুলছেন।