ইয়াছিন আরাফাতঃঃ
শহরের প্রধান সড়কে অবস্থিত হোটেল সাগরিকায় পর্যটন ব্যবসার আড়ালে প্রকাশ্যে দেহ ব্যবসা চলছে, সক্রিয় রয়েছে অপরাধী চক্র। কক্সবাজার শহরে সন্ধ্যা নেমে আসলেই হোটেল সাগরিকায় লাল,সাদা লাইটের আলোর নিচে রুমে বসে থাকে কিছু নারী এবং বিক্রি করছে তাদের লালিত স্বপ্ন। আর সেই স্বপ্নের ফেরিওয়ালারা সমাজে পতিতা নামে পরিচিত,এরাই আবার অনেক যুবকের কাছে রাতের রজনীগন্ধা। তেমনি একটি হোটেল কক্সবাজারের সাগরিকা।সেইখানেই চলে নিরবে নির্বিগ্নে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে রমরমা পতিতা ব্যবসা। গত ৯ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে অভিযানে বিভিন্ন হোটেল-মোটেল। জোন কটেজ থেকে, নারী-পুরুষ সহ প্রায় ৫২ জনকে আটক করে জেলা পুলিশ। এত বড় একটি সফল অভিযান হওয়ার পরও এখনো চলছে নির্ভয়ে রমরমা পতিতা ব্যবসা শহরের হোটেল সাগরিকায়। এই হোটেলের একজন কমিশনদারী তার নাম পরিচয় গোপন করে জানিয়েছেন, আলোকিত উখিয়াকে এই হোটেলের জিয়াউর ও হোটেল কেয়ারটেকার ইয়াছিন।উখিয়া,টেকনাফ,রামু,ঈদগাহ্ চকরিয়া থেকে নারী এনে এই রমরমা পতিতা ব্যবসা করছে। তিনি আরো জানান,এই হোটেলের রয়েছে কমিশনদারী কয়েকটি পতিতা দালাল চক্র। তারা সাধারণত খদ্দর পঠানোর জন্য অবস্থান নিয়ে থাকে, প্রধান কটেজ জোন শহরের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মোড়ে। সেইখানেই যদি মিলে খদ্দর,তাহলে বিশেষ কমিশনের মাধ্যমে নিয়ে আসে দালাল এরা হোটেল সাগরিকায়। তারপর ঢুকানো হয় সেই সাগরিকা হোটেলের ভিতরের অবারিত দুনিয়ায়,সেইখানে থাকে সাজানো গোছানো তাদের মহা আয়োজন। দেখানো হয় হোটেলে থাকা রংচং শহরের বলিউড অভিনেত্রীদের ,খদ্দরের পছন্দ হলে ১৭০০- ২০০০ টাকার বিনিময়ে সহজেই মিলে হোটেল সাগরিকায় সুন্দরী রমনীদের। কিন্তু তাদের সাথে থাকে,প্রতিনিয়ত আদিমতায় ভরা দেহ নির্ভার প্রকাশভঙ্গি,এভাবেই তাদের বছর দিন গড়িয়ে যায়,কিন্তুক চরিত্র বাদলায় কখনো গল্প বদলায় না। এই বিষয়ে হোটেল কতৃপক্ষের,জিয়াউর রহমানের কাছে জানার জন্য ফোন করা হলে জিয়াউরের ফোন বন্ধ আসে। এখন কক্সবাজারের সচেতন মহল বলছে,ক্রমান্বয়ে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে যুব সমাজ।এই যুব সমাজকে ধ্বংস করা একটি অন্যতম হাতিয়ার পতিতালয়, তাদের ছোবল থেকে রেহাই পাচ্ছেনা সমাজের প্রায় সব শ্রেণীর মানুষ।তাদের ছোবল থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করার জন্য প্রশাসনকে, আরো কঠুর হওয়ার পরামর্শ শহরের সচেতন নাগরিদের।