ক্রাইম প্রতিবেদক,
বাইশারী এবং গর্জনিয়া ইউনিয়ন এর মধ্যবর্তী জায়গা’ বড়বিলে মধ্যযুগীয় কায়দায় এক বন্যপ্রাণী শিকার করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে,কিছু দুর্বৃত্ত ও শীর্ষ সন্ত্রাসীরা মিলে বন্যপ্রাণীটিকে অর্ধমৃত অবস্থায় জবাই করে মাংস ভাগবাটোয়ারা করেছে।
বন্যপ্রাণী শিকারে বনবিভাগের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আজ সকাল আনুমানিক এগারোটার দিকে এই বন্য ছাগলটিকে ধাওয়া করে একদল দুর্বৃত্ত,প্রাণীটি মানুষ নামক হায়নার দল থেকে প্রাণে বাঁচতে নির্বিকার সংগ্রাম করেও শেষ রক্ষা পায়নি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় বাইশারী বাজার এর পূর্বে নারিছবুনিয়া গভীর জঙ্গল থেকে পালিয়ে আসা বণ্য ছাগলটি বাইশারী বাজারের পশ্চিমে লোহার ঝিরি এলাকার বনের ভিতর প্রবেশ করলে দুর্বৃত্তরা সেখানেও ধাওয়া করে প্রাণীটি পালিয়ে বড়বিল এক নাম্বার ওয়ার্ড এলাকায় প্রবেশ করে,সেখানে দুর্বৃত্তরা চারিদিকে ঘিরে হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সজোরে আঘাত করতে থাকে অর্ধ মৃত্যু হয়ে গেলে অসহায় প্রাণীটিকে জবাই করে মাংস ভাগবাটোয়ারা করেছে দুর্বৃত্তরা।
অপরাধীরা বন্যপ্রাণী হত্যার মামলা থেকে বাঁচতে বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র এবং গর্জনিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র বাইশারী বিট কর্মকর্তার জন্য ১,কেজি করে মাংস বরাদ্দ রাখার খবর পাওয়া গেছে। প্রাণীটি শিকারের নেতৃত্বে বাইশারী এবং গর্জনিয়া বড় বিলের সন্ত্রাসী জুনায়েদ প্রকাশ জুনু সহ আরো কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে ঘিলাতলী বিট কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছি এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে পারছিনা।