মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে একটি যৌথ বিবৃতিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল একমত হতে ব্যর্থ হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) দু’ঘণ্টার দীর্ঘ জরুরি বৈঠকে মিয়ানমারের অন্যতম বন্ধু চীন এবং রাশিয়া যার কাউন্সিলের ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা আছে তার সমর্থন আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে।
১৫ সদস্যের এই কাউন্সিলের যুক্তরাজ্যের একটি খসড়া বিবৃতি বিবেচনা করা হয়েছে। এ বিবৃতিতে মিয়ানমারে জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূতকে বলা হয়েছে “গণতন্ত্রের সমর্থনে একটি সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি জানাতে।
বৈঠকে মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ও সুইজারল্যান্ডের কূটনীতিক ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্গেনার পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দেন।
তিনি বলেন, আমি সামরিক বাহিনীর সাম্প্রতিক পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানাই এবং আপনারা সবাইকে সম্মিলিতভাবে মিয়ানমারে গণতন্ত্রের সমর্থনে একটি সুস্পষ্ট সংকেত প্রেরণ করার আহ্বান জানিয়েছি।
সামরিক বাহিনী বলেছে যে তাদের অভ্যুত্থান সাংবিধানিক এবং নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তারা ২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনটি প্রমাণ ছাড়াই জালিয়াতি বলে দাবি করেছে। সেখানে জরুরি অবস্থা এক বছরের জন্য কার্যকর থাকবে।
ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্গেনার বলেন, আমাদের কাছে এটি পরিষ্কার নির্বাচনের সাম্প্রতিক ফলাফলটি ছিল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) -এর জন্য এক দুর্দান্ত বিজয়। আবার নির্বাচন অনুষ্ঠানের সামরিক প্রস্তাবকে নিরুৎসাহিত করা উচিত।
বৈঠকে অংশ নেওয়া এক কূটনীতিক এএফপি নিউজকে জানিয়েছেন, চীন ও রাশিয়া আরও সময় চেয়েছে।
ব্রিটেনের খসড়া পাঠ্যটিতে জরুরি অবস্থা বাতিল করা এবং “সকল পক্ষের জন্য গণতান্ত্রিক নিয়ম মেনে চলার দাবি করা হবে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো কাউন্সিলের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতার নিন্দা করেছে।
গ্লোবাল জাস্টিস সেন্টারের সভাপতি আকিলা রাধাকৃষ্ণান এক বিবৃতিতে বলেছেন, আন্তর্জাতিক শান্তি ও সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য জাতিসংঘ একটি নির্লজ্জ সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা করে একটি বিবৃতি জারি করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে কারও অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ বিশ্ব নেতার কিছু নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েই তাদের কাজ শেষ করে আত্মতুষ্টিতে আছেন।