প্রশাসনের চৌখ ফাঁখি দিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে মোহাম্ম্দ রিফাজ (১৯) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু এবং প্রশাসনিক হস্থক্ষেপ কে তুয়াক্কা না করে রাতের অন্ধকারে লাশ দাপনের অভিযোগ তার পরিবারের বিরুদ্ধে।
বুধবার ( ১৩ জানুয়ারী ) উপজেলার ঈদগাঁও কলেজ গেইট এলাকায় নিজ ঘর থেকে প্রায় দুপুর ১২:০০ টা সময় তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয় বলে দাবী করেন তার পিতা-মাতা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার জান্নাতুল ফেরদৌস।
এ বিষয়ে তার পরিবারের কাছে বিস্তারিত জানতে চাইলে কেউই শুধু মাত্র মৃত্যুর খবরটা নিশ্চিত করা ছাড়া কোন বিষয়ে বলতে রাজি হননি। তবে রিফাজের বোন পারভীন আক্তার বলেন, আমি বাহির থেকে এসে দেখি দরজা লক আছে, যখনই দরজা খুলতে যায় তখন আমার ভাই ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে আছে। সাথে সাথে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলি তখন দেখি আমার ভাইয়ের গেঞ্জি রক্তে রক্তাক্ত দেখে আমি ভয় পেয়ে বাহির চলে আসি তারপর এলাকা বাসি গিয়ে আমার ভাইয়ের লাশ উদ্ধার করে তার সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত ছিলো। পেটের মধ্যে খানে এবং তার দুই হাতের রগও কাটা ছিলো ।
স্থানীয় আবুল কালাম সংবাদদাতাকে জানান, আমরা মৃত্যুর খবর শুনে ছুটে গিয়ে দেখি রিফাজের লাশ বাড়ির চালের একটা গাছের সাথে ওড়না পেছানো অবস্থায় ঝুলানো, লাশ যখন নিচে নামাচ্ছিলাম তখন মনে হলো পুশুর মতো তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। আরো বলেন তার বিয়ের মেহেদী না শুকাতে তার লাল রক্ত দেখতে হবে তা মেনেনিতে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কি কারণে মারা গেছে তা আমরা এখনো বলতে পারি না । এবং আরো জানান ছেলেটি অনেক ভালো ছিলেন কোন দিন কারো সাথে জগড়া করতে দেখিনি। তবে রিফাজের বোন পারভীন আক্তারের স্বামী ইমাম হোসেনের সাথে কিছু দিন আগে একটা মোবাইল ফোনের বিষয় নিয়ে জগড়া হয় রিফাজের।
পারিবারিক সুত্রে জানাযায়, মো: রিফাজ কলেজ গেইট এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে। তিনি পেশায় সুনির্দিষ্ট কোন কাজের সাথে জড়িত না থাকলেও যখন যা কাজ পাই তাই করতেন। তার বিগত চার মাস আগে চৌফলন্ডী ৩নং ওয়ার্ড় এলাকার মৃত্যু আব্দু শুক্কুরের মেয়ে জয়নাব সুলতানা সুমির সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়।
এ বিষয়ে ঈদগাহ ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা এম ইউপি জান্নাতুল ফেরদৌসের কাছে আত্মহত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সে সাথে প্রশাসন কে না জানিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাপনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান একবার বলেন জেলা পরিষদ সদস্য সোহেল জাহান চৌ:র নির্দেশে দিয়ে দিয়েছি। পরে জেলা পরিষদ সদস্য সোহেল জাহান চৌ: সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এম ইউপি জান্নাতুল ফেরদৌস আমাকে মৃত্যুর কথা বলেছেন আমি তাদেরকে প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে বলেছি এবং আমি কাউকে বলি নাই ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাপন করতে।
পূনরায় জান্নাতুল ফেরদৌসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অবহিত করেছি এবং এডি এমের কাছ থেকে লিখিত কাগজ এনেছি। কাগজ দেখাতে বল্লে এ দিখ ও দিখ ছুটতে থাকে এবং বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় সংবাদ কর্মীদের গালি গালাজ করতে থাকে এবং চাঁদা দাবী করতে আসছে বলে হুমকি দিয়ে ঐ স্থান থেকে কৌশলে কেটে পড়েন।
আত্মহত্যার বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার জিয়াবুল হকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে কল ফোন রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্বভ হয়নি।
উক্ত ঘটনার এক দিন পর মহিলা এম ইউপি জান্নাতুল ফেরদৌসের বক্তব্যর সত্যতার প্রেক্ষিতে, ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল হালিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমাদের কাছে এই পর্যন্ত এমন কোন অভিযোগ বা খবর আসেনি তবে ঘটনার সত্যতা খুজে আইনি ব্যবস্তা নেওয়া হবে।