ক্রাইম প্রতিবেদন আলোকিত উখিয়া।
কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা উখিয়া এখন মাদক ও স্বর্ণের চালান এর স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে। ডিসেম্বর মাসে নতুন করে রোহিঙ্গা মাদক কারবারি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেও এবিষয়ে মাদক কারবারিদের কোনো আতংক নেই। ইয়াবার চালান আটক ও মামলা চলমান থাকলেও থেমে নেই ইয়াবা পাচার।
ফলে উদ্বেগ উৎকন্ঠার মাঝে কাটছে উখিয়া, থাইংখালী, পালংখালীর মানুষের জীবন। তবে সীমান্ত উপজেলার পুলিশ, র্যাব, ও বিজিবি বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর থেকে কঠোরতর অভিযানের কারণে প্রায় ৬০ শতাংশ ইয়াবা পাচার কমে আসছিল। কিন্তু এখন নতুন করে আবার মাথা চড়া দিয়ে উঠেছে ইয়াবা কারবারিরা।
নুরুল হক ইয়াবার ছোঁয়ায় কোটিপতি এখন সেই পত্রিকা অনলাইনে নিউজ হলে নাকি কিছু যায় আসেনা সেই মোছার খোলা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে বেড়াচ্ছে মোছার খোলা তেল খোলা গ্রামে ইয়াবার টাকায় কয়েকশত খানি সরকারি জমিজমার মালিক গাপটি মেরে থাকা ইয়াবা কারবারি নুরুল হক।
উল্লেখ্য, গত ২৭ ডিসেম্বরে (রবিবার) জামতলা ১৬ এপিবিএন পুলিশের হাতে আটক ২১ হাজার ইয়াবার বড় চালান যাচ্ছিলো শহরের দিকে। গোপন সংবাদ এর ভিত্তিতে আটক হয়েছে সদ্য জামিনে মুক্তি পাওয়া নুর মোহাম্মদ এর স্ত্রী ও তার ছোট ভাই সরোয়ার।
অনুসন্ধানে উঠে আসেছে, নুর মোহাম্মদ এর বোনের জামাই মোছার খোলা গ্রামের হাবিবুল্লাহ’র পুত্র নুরুল হক দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে আটককৃত নাম্বার বিহীন গাড়ি দিয়ে বড় বড় চালান ঢাকা চট্টগ্রাম পাঠিয়েছে।
এইসব ইয়াবার বড় চালানের মূল মালিক নুরুল হক। মোছার খোলা গ্রামকে ইয়াবার স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেছে নুরুল হক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকে অভিযোগ তুলে বলেন, নুর মোহাম্মদ কারাগারে থাকা কালিনী সময়েও ঢাকা চট্টগ্রামের অনেক ইয়াবার ডোনার নানাভাবে তাকে সহযোগিতা করে আসছেন। তাঁরা আরও বলেন, নুরুল হক কে গ্রেপ্তার করলে বেরিয়ে আসবে ইয়াবা গডফাদারদের চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সাধারণ মানুষের দাবি মোছার খোলা এলাকায় শান্তিতে বসবাস করতে হলে নুরুল হক সিন্ডিকেটের শালা দুলাভাই কে আটক করতে হবে।
এই বিষয়ে নুরুল হক এর সাথে মোবাইলে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, শালা মানিকসহ তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
গোয়েন্দা সংস্থার নজর রয়েছে এমন একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, তাদের পরিবারে রয়েছে কয়েকটি ইয়াবা কারবারি সিন্ডিকেট। আমরা তালিকা তৈরি করে পাঠিয়ে দিয়েছি তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে আশা করছি।
কক্সবাজার জেলা এসপি হাসানুজ্জামান জানান, ইয়াবা কারবারি যতই ক্ষমতাধর হোন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না তাদের শিকড় পর্যন্ত উপড়ে ফেলা হবে বলে জানান।