সালাহ্ উদ্দিন জাসেদ;
দেশব্যাপী ইউপি নির্বাচনে লেগেছে হাওয়া। নিজেদের অধিকার ও দায়িত্ববোধ সম্পর্কে জনগণ চায় সৎ, শিক্ষিত, চরিত্রবান, আদর্শিক ও সমাজসেবার মানসিকতাসম্পন্ন যোগ্য মানুষ জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হোক। যারা সুখে-দুঃখে জনগণের পাশে থাকবে কেবল তারাই জনপ্রতিনিধি হওয়ার অধিকার আছে। তেমনই একজন জনপ্রতিনিধি বর্তমান মেম্বার কামাল হোসেন। তিনি রামু উপজেলা খুনিয়া পালং ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড এর বর্তমান মেম্বার ও আগামী নির্বচনের প্রার্থী।
করোনা স্থবিরতা যখন কাঁদছিল এলাকার অভাবী ও কর্মহীন মানুষ। অনাহারে-অর্ধাহারে কাটছিল অনেকের দিন। নিজেদের এমন ঘোর দু:সময়ে সমুদ্র তীরে অবস্থিত পেঁচারদ্বীপ-মাংলা পাড়া এলাকার মানুষ কাছে পেয়েছেন মানবিক একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে।
কিন্তু দেখা ছিলনা আগামী নির্বাচনের প্রার্থী হওয়া বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধির। দুঃয়ে বন্ধ ছিল অনেকের মোবাইল ফোনও। এড়িয়ে চলেছেন এলাকার জনগনকে।
যখন এলকার শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষজন জীবন বাঁচার তাগিদে হাহাকার করছিল। মানুষ মানুষের কাছে আসতে চাইনি ঠিক ঐ সময়তে পেঁচারদ্বীপ-মাংলা পাড়ার মানুষ কাছে পেয়েছেন মানবিক মেম্বার কামাল হোসেনকে।
এলাকার একাধিক মানুষের সাথে আলাপচারিতায় জানা যায়, এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে চলমান এ সঙ্কটে তিনি আলো ছড়িয়েছেন। আবির্ভূত হয়েছেন ‘ত্রাতার’ ভূমিকায়।
নিজের ওপর জনগনের অর্পিত দায়িত্ব পালন করছেন সুচারুরূপে। সামাজিক নিরাপত্তার নিয়ম-কানুন মেনেই নিজের কার্যক্রমে গতি বাড়িয়েছেন।
মাস্ক আর হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণের মধ্যেই কেবলমাত্র নিজেদের সীমাবদ্ধ না রেখে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই অভাবী মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।
সাধ্যমতো তাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে, এখনও দিচ্ছেন ত্রাণ সামগ্রী। ব্যক্তিগত উদ্যোগে, সমাজের বিত্তশালীদের সহযোগিতা নিয়ে নিয়মিতভাবেই দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের কাজ করছেন।
এলাকার সাধারণ মানুষের ‘পরীক্ষিত বন্ধু’ হিসেবেই করোনা সঙ্কটময় মুহুর্তে তাদের কল্যাণে নিজেকে সমর্পণও করেছেন। করোনা যোদ্ধা হিসেবে তার কার্যকর উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে এলাকার সাধারণ মানুষের ‘হৃদ মাঝারে’ নিয়েছেন ঠাঁই।
আলোচিত এই জনপ্রতিনিধিরা বিপদে ‘বন্ধুর পরিচয়’ দিয়ে হয়েছেন ‘নন্দিত’।
জনগণের হৃদ মাজারর ঠাঁই পাওয়া কামাল হোসেন মেম্বার এর ভাষ্য হচ্ছে- ‘সঙ্কটে মানুষের পাশে থাকাই মানবতা। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে চিরকাল মানুষের সেবা করে যেতে চাই।
নিজের এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বিপদকালীন মুহুর্তে পাশে থেকে কাজ করে যেতে চাই।
তিনি আরও জানান,
নির্বাচনে জয় পরাজয় থাকবেই। আমি আশা করি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আর জনগণ যদি আমার পাশে থাকে তাহলে আমি জনগণের আরো সেবা করার সুযোগ পাবো। আমি মেম্বার হতে চাই না, আমি একজন মেম্বার নামের সেবক হতে চাই। এলাকার গরীব দুঃখীদের সেবা করতে চাই।