বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যাওয়ার পর করোনাভাইরাস টিকা দেশের সীমানা নির্বিশেষে গণমানুষের জন্য সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য করার ওপর জোর দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের সপ্তাহের আগে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান।
গুতেরেস উল্লেখ করেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে এবং এ রোগে মৃতের সংখ্যা শিগগিরই ১০ লাখে পৌঁছে যাবে। অনেকে টিকার ওপর আশা করে আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এটা পরিষ্কার যে মহামারিতে কোনো সর্বরোগের ওষুধ নেই।
‘শুধুমাত্র একটি টিকা এ সংকট সমাধান করতে পারবে না, অবশ্যই নিকটবর্তী সময়ে নয়,’ উল্লেখ করে জাতিসংঘ প্রধান জোর দিয়ে বলেন, ‘আমাদের নতুন এবং বিদ্যমান উপায়গুলোকে ব্যাপক আকারে প্রসারিত করতে হবে যা নতুনভাবে আক্রান্ত রোধ করবে এবং সংক্রমণ দমন ও জীবন বাঁচাতে অতি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সরবরাহ করবে, বিশেষত পরবর্তী ১২ মাস ধরে।’
তিনি বলেন, ভাইরাসটি যেহেতু কোনো সীমানা মানেনি তাই টিকাকে অবশ্যই বৈশ্বিক জনগণের সম্পদ হিসেবে দেখতে হবে এবং তাকে সবার জন্য সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য করতে হবে। তবে এ জন্য অর্থায়নে দরকার বিস্ময়কর পদক্ষেপ।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ২ কোটি ৯৭ লাখ ৬০ হাজার ৫৭৯ জনে। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত করোনায় বিশ্বব্যাপী মৃত্যু হয়েছে ৯ লাখ ৩৯ হাজার ১৭৫ জনের।
মহামারিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৬৬ লাখের বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৫২ জন। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে করোনা রোগীর সংখ্যা ৫০ লাখ ২০ হাজার ৩৫৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৮২ হাজার ৬৬ জনের।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ লাখ ১৯ হাজার ৮৩ জন মানুষ এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৩৪ হাজার ১০৬ জনের।