আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শর্ত সাপেক্ষে আরও ১৯ জোড়া ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ওই দিন থেকে লোকাল, মেইল ও কমিউটার ট্রেনের টিকিট স্টেশনে বিক্রি করা হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) বিকালে রেলওয়ের পরিচালক (ট্রাফিক) শফিকুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ৫ সেপ্টেম্বর থেকে রাত্রীকালীন উচ্চশ্রেণির যাত্রীদের চাদর ও কম্বল সরবরাহ করা হবে। এ জন্য টিকিটের মূল্যের সঙ্গে বেডিং চার্জ যোগ করা হবে। এছাড়া, চা, কফি, বোতলজাত পানি সরবরাহ করা হবে।
শফিকুর রহমান বলেন, আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট অনলাইনেই থাকছে। আন্তঃনগর ট্রেনের আগাম টিকিট ১০ দিন আগে ইস্যু করা হবে। যা আগে ছিলো ৫ দিন।
এছাড়া করোনাকালীন বহরে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়েই ট্রেন চলবে। স্ট্যান্ডিং টিকিট ইস্যু করা হবে না এবং বিক্রিত টিকিট ফেরত দেওয়া যাবে না। যাত্রার ৩৬ ঘণ্টা আগে দুই শতাংশ টিকিট রেল কর্মচারীদের জন্য সংরক্ষণ করা হবে।
এদিকে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, নরসিংদী স্টেশনে সব আন্তঃনগর, কমিউটার, মেইল ট্রেন এবং ভৈরব বাজার স্টেশনে শুধু কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতি শুরু হবে বলে জানান শফিকুর রহমান।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে আন্তঃনগর, কমিউটার ও লোকালসহ নতুন যে ১৯ জোড়া ট্রেন চলবে, যেগুলো হলো-
চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের মহানগর গোধুলী/প্রভাতী, ঢাকা-সিলেট-ঢাকা জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট-ঢাকা উপবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ঢাকা চট্রগ্রাম তুর্ণা এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, ঢাকা-জামালপুর-ঢাকা জামালপুর এক্সপ্রেস, ঢাকা-বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম-ঢাকা দ্রুতযান এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী ধুমকেতু এক্সপ্রেস, ঢাকা-রংপুর-ঢাকা রংপুর এক্সপ্রেস, সিরাজগঞ্জ বাজার-ঢাকা-সিরাজগঞ্জ বাজার সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস, খুলনা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহানন্দা এক্সপ্রেস, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রহনপুর লোকাল, রহনপুর-খুলনা মহানন্দা এক্সপ্রেস, সান্তাহার-লালমনিহাট-সান্তাহার পদ্মরাগ কমিউটার, খুলনা-গোয়ালন্দঘাট-খুলনা নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম সাগরিকা কমিউটার, রাজশাহী-পার্বতীপুর-রাজশাহী উত্তরা এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা মহুয়া এক্সপ্রেস এবং খুলনা-বেনাপোল-খুলনা বেতনা এক্সপ্রেস চলাচল করবে।