ক্রম রিপোর্ট:
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ‘রায়হান’ কাজী অফিসের পিয়ন থেকে হঠাৎ কোটিপতি হওয়ার পেছনের কারণ অনুসন্ধান করে কোন জবাব মিলছেনা তার এলাকা কান্জর পাড়ায়।
অল্প সময়ে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়ার পিছনে রয়েছে মাদকের কারিশমা।জানা যায়, হোয়াইক্যং ইউপির কান্জর পাড়ার জনৈক রশিদের পুত্র মোহাম্মদ রায়হান ছিলো হ্নীলা কাজী অফিসের একজন সাধারণ কর্মচারী।
যার বেতনছিল সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৭ হাজারের মতো।
এখন উক্ত রায়হান গত ২বছর আগে কাজী অফিসের চাকরী ছেড়ে দিয়ে চলে আসে আরেক জগতে। হুন্ডি ও বিকাশের মাধ্যমে মাদকের কোটি কোটি টাকা পাচার করে নিজেই কোটিপতি রায়হান। মাত্র বছর দু একের ব্যবধানে কি করে এত সম্পদের মালিক? জনমনে তা নিয়ে প্রশ্নউঠেছে।
হোয়াইক্যংয়ের একাধিক মহল জানায়, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউপির কিছু চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীর সাথে শিয়ার হোল্ডার হয়ে গোপনে মাদক ব্যবসা চালায় রায়হান।
বিভিন্ন ভাবে সে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে দুই বছরে কোটি কোটি টাকার মালিন বনে যায়।ইতোমধ্যে হ্নীলা ষ্টেশনের পূর্ব পাশে এবিএম সুপার
মার্কেটের ২য় তলায় তার দু‘টি দোকান রয়েছে। যে দোকানে কোটি টাকার উপরে মালামাল রয়েছে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হ্নীলার এক প্রবীণ ব্যবসায়ী জানায়,
দীর্ঘ ১০ বছর সাধনা কওে আরেকটি দোকান দিতে আমরা যে খানে অক্ষম। সে খানে উক্ত রায়হান কি ভাবে অল্প সময়ে কয়েকটি দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্টান করে
আমাদের বুজা আসেনা। হ্নীলা সিকদার প্লাজার নিচে তার আরো একটি বিকাশের দোকান দৃশ্যমান রয়েছে। যেখানে বিকাশের বড় বড় লেনদেন হয়।হুন্ডির মাধ্যমে
টাকা পাচার করে,দুবাই,মালয়েশিয়া ও সৌদি আরবে। সে খান থেকে টাকা কৌশলে
ঢুকে যায় মিয়ানমারে। অভিযোগ রয়েছে, কথিত রায়হান বিকাশের আড়ালে সে বিভিন্ন ভাবে দৈনিক কোটি কোটি টাকার অবৈধ টাকার লেনদেন করে। এলাকা সূত্রে আরো
জানা যায়,তার পিতা আব্দুর রশিদ ছিলো একজন মায়ানমারের নাগরিক। আব্দুর রশিদ পুরাতন মায়ামারের লোক হওয়ায়, টাকার বিনিময়ে আইডি কার্ড করে,বাংলাদেশের নাগরিক বনে যায়।
আব্দুর রশিদের ছেলে রায়হানের প্রাইভেটকার, সহ কয়েকটি গাড়ি এবং টাইলস বিশিষ্ট বিলাস বহুল বাড়ি করেছে। রায়হান এখন নিজের
জন্মস্থান কানজর পাড়ার নিজ বাড়ীতে না থেকে হ্নীলা এলাকার মোরা পাড়ার জনৈক
কালু হাজীর পূত্র আনোয়ারের বিলাসবহুল ভাড়া বাসায় অবস্থান করে। রায়হানের
এই সম্পদের এবং আয়ের উৎস কী?
জানতে চায় স্বচেতন মহল। এলাকাবাসীর মতে মাদকের চুনুই পুটিদের চেয়ে আড়ালে মুখোশ পরে থাকা এসব মাদকের গডফাদারদের
আইনের আওতায় না গেলে মাদক বিরোধী অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ হবে। ভবিষ্যতে এমন
অবৈধ ব্যবসায়ীরা সমাজকে রসাতলে নিয়ে যাবে।
এমন ধারণা স্বচেতন মহলের । এলাকার স্বচেতন মহল তাদের অবৈধ সম্পদের তদারকি করে আইনের আওতায় আনার জোর
দাবী জানান।এব্যাপারে তার কাছে জানতে চাইলে,সে হ্নীলা দোকান করে,এসবের সাথে জড়িত নয় বলে জানান।