আলোকিত ডেস্ক::
থানা বা ট্রাইব্যুনাল নয়, মামলা নিয়ে আপাতত উচ্চ আদালতের অপেক্ষায় রয়েছেন নি’হত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের স’ঙ্গী শিপ্রা দেবনাথ।
সে কারণে আজ বুধবার (১৯ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে রামু থানায় মামলা করতে গিয়েও মাঝপথ থেকে ফিরে এসেছেন শিপ্রা। বুধবার দুপুরে শিপ্রার আইনজীবী মাহবুবুল আলম টিপু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায়ও মামলা করতে গিয়েছিলেন শিপ্রা। ফেসবুকে অ’পপ্রচারের অভিযোগে দুই এসপিসহ শতাধিক ব্য’ক্তির বি’রুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মা’মলার চেষ্টা করছেন শিপ্রা দেবনাথ। তাই মঙ্গলবার রাতে মা’মলা করতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় গেলেও থানা কর্তৃপক্ষ মামলা নেয়নি। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খায়রুজ্জামান রামু থানা বা ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে মামলাটি ফিরিয়ে দেন।
সেই মতে বুধবার (১৯ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার শহর থেকে রামু থানার উদ্দেশে রওনা হন তারা। কিন্তু ঢাকা থেকে জানানো হয় উচ্চ আদালত শিপ্রার পক্ষে দায়ের করা রিটের আদেশ দিতে পারেন আগামীকাল। সেই আদেশ কী আসে তা জানার অপেক্ষায় মামলার নথি রামু থানায় জমা না করে ফিরে যায় তারা।
মাহাবুবুল আলম টিপু আরো জানান, যে ডিভাইসগুলো পুলিশ জব্দ করেছে, তবে মামলার জব্দ তালিকায় দেখানো হয়নি সেখান থেকেই শিপ্রার ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তার ব্যক্তিগত মু’হুর্তের ছবি সেসব ডিভাইসেই ছিলো। অন্য কোথাও ছিলো না। আর রামু থানায় থাকা ডিভাইস থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার নিয়ে রামু থানার ওসির বক্তব্য অ’সত্য বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আটকের সময় জব্দ হওয়া ডিভাইস থেকে শিপ্রার ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা আবুল খায়ের জানান, জব্দ করা ডিভাইস থেকে কারো ব্যক্তিগত ছবি বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এবং জব্দকৃত মালামাল আমাদের হেফাজতে রয়েছে,আদালতের লিখিত নির্দেশনা ফেলে আমরা তদন্তকারী সংস্থার কাছে হস্তান্তর করব।
উল্লেখ্য, পুলিশের করা মামলায় জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিপ্রা দেবনাথের ব্যক্তিগত ছবি-ভিডিও ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার চেয়ে শিপ্রা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তাকে হেনস্তায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করারও ঘোষণা দেন।