আলোকিত রিপোর্ট::
পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কলাতলী। দীর্ঘ করোনা কাল শেষে পর্যটন ব্যবসা চালু হলেও কলাতলীর হোটেল কটেজ ব্যবসায়ীরা পড়েছেন নতুক এক বিপাকে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন এই সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে দুই রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী অবৈধভাবে ড্রেনের মুখে মাটি ফেলে বাঁধ সৃষ্টি করায় পুরো সড়কজুড়ে পানি জমে জলাশয়ে রূপ নিয়েছে। যার ফলে কমপক্ষে ২০টি হোটেল ও রেস্টুরেন্টে যাতায়াতকারী পর্যটক ভোগান্তি পোহাচ্ছে। পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার ছোটো বড় সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিন- হোটেল আলহেরা ও দাওয়াত রেস্তুরাঁ নামে দুটি খাবার হোটেল তাদের সামনে সওজের রাস্তার উপরে উঁচু করে মাটি ভরাট করে ফেলেছে। ভরাটকৃত মাটির পশ্চিম উত্তর পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছিলো; যা মাটি ভরার করার কারণে বাঁধের মতো সৃষ্টি হয়। যার ফলে বাকী রাস্তাতে বৃষ্টির পানি জমে জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। পর্যটকদের সেখানে হাঁটু সমান পানি পাড়ি দিয়ে হোটেলে যেতে হচ্ছে। এভাবে বাঁধ সৃষ্টি করায় কমপক্ষে ২০টি মতো হোটেল রেস্টুরেন্টের যাতায়াতে ব্যাঘাত ঘটছে। স্থানীয়দের নিয়মিত যাতায়াতেও ভোগান্তির শেষ নেই।
স্থানীয় নাছির নামে একজন জানান- ড্রেনের মুখে মাটি ভরাট করায় চলাচলের রাস্তাটি এখন জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। এখন নৌকায় যাতায়াত করা ছাড়া উপায় নেই। মাটি ভরাটকারীদের অনেক ক্ষমতা। তাদের ব্যাপারে কিছু বলতে গেলেই দোষ গায়ের উপর চাপাবে। একারণে মুখ বন্ধ করে রাখাই উত্তম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী এক হোটেল ব্যবসায়ী জানান- এমনিতেই করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে পর্যটন ব্যবসা বন্ধ ছিলো। এরউপর আবার হঠাৎ করে এভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় কোনো ধরণের পর্যটক হোটেলের এইদিকে আসতে চাচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই হাঁটু সমান পানি মাড়িয়ে কেউ আসতে চাইবে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়- অভিযুক্ত দুই রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী হলেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী জাফরের ছেলে নুরুল আজিম ও ফুতিয়া এবং চকরিয়ার আবু মিয়ার ছেলে সাবেক বিএনপি নেতা সাজ্জাদ। চলাচলের রাস্তায় অবৈধভাবে মাটি ভরাট করার কারণ জানতে প্রত্যেকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাদের মুঠোফোনে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুঠোফোনে প্রতিবেদককে জানান- বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। এভাবে অবৈধভাবে মাটি ভরাট করে ড্রেনের পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থা ব্যহত করা চরম অন্যায় এবং গর্হিত কাজ বলেও মন্তব্য করেন। এছাড়াও সুযোগ বুঝে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান।