গরুর কৃত্রিম প্রজনন স’ম্পর্কে জ্ঞান আহ’রণে ৩৫ কর্মক’র্তার জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড ও কানাডা যাওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে এ প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যাচ্ছে। মৎস্য ও প্রা’ণী সম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ওই সফরে গেলে সরকারের ব্যয় হতো প্রায় দুই কোটি টাকা। গড়ে প্রত্যেকের পেছনে ওই সফরে খরচ হতো সাড়ে ৫ লাখ টাকারও বেশি।
সূত্র জানায়, দেশি গবাদি পশুর মান উন্নয়ন, দুধ ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং জনগণের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও ভ্রূণ স্থা’নান্তর প্রযু’ক্তি বাস্তবায়ন (তৃতীয় পর্যায়)’ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়।
এটির মূল অনুমোদিত ব্যয় ছিল ২৬৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। প্রথম সংশোনীর মাধ্যমে ২০৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা বাড়িয়ে মোট ৪৭১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় বৈদেশিক শিক্ষা সফর বা প্রশিক্ষণ খাতে বরাদ্দ ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এই অর্থে ২৫ জন কর্মক’র্তার বিদেশ সফরের কথা ছিল। কিন্তু নতুন করে কর্মক’র্তার সংখ্যা বাড়ানো হয়।
এ প্রস্তাবটি নিজের দায়িত্ব নেবার আগেই হয়েছিল বলে দাবি করেছেন শ. ম. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, আমি এরই মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠক করেছি। এ ধরনের বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তাব আম’রাই বাতিল করে দেবো বলে সিদ্ধান্তও নিয়েছি।
এর আগেও ২০১৯ সালে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬ জন কর্মক’র্তার পুকুর খনন দেখার জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রস্তাব একনেকে পাস হয়। তখন এ নিয়ে দেশব্যাপী তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছিল।