বিশেষ প্রতিবেদক:
টেকনাফ থানার আওতাধীন খারাংখালী মহেশ খালীয় পাড়ার অধিবাসী মৃত্যু
আলী আহমদের পুত্র সিএনজি চালক আব্দুল জলিল প্রকাশ (গুরা পুতুইক্কা) কে
গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন,আব্দুল জলিলের বড় ভাই মোহাম্মদ
আব্দুর রশিদ।হত্যার পর গত ৭ই জুলাই( ২০২০ইং) আব্দুল জলিলের লাশ তার পরিবারের হাতে হস্তান্তর করেন ওসি প্রদীপ। নিহত জলিলের বড় ভাই আব্দুর রশিদ সংবাদকর্মীদের জানান, গত ৩
ই ডিসেম্বর-২০১৯ পুলিশ তাঁর ছোট ভাই সিএনজি চালক আব্দুল জলিলকে গ্রেফতার
করে নিয়ে যায়,গ্রেফতারের পর থেকে ভুক্তভোগী পরিবার টেকনাফ মডেল থানার ওসি
প্রদীপ কুমার দাশকে নির্দোষের বিভিন্ন প্রমাণ দেখান। নির্দোষ প্রমাণ
হওয়ার পরে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ গ্রেফতারকৃত আব্দুল জলিলের পরিবার থেকে
৩০ লক্ষ টাকা উৎকোচ দাবী করে। কিন্তু নিহত জলিলের পরিবারকে পুলিশের দাবী
মেঠাতে ৩০ লক্ষ টাকা জোগাড় করার জন্য প্রায় ৭ মাস পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় সমালোচিত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
ওসি প্রদীপের চাহিদা মিঠাতে না পেরে অবশেষে পুলিশের গুলিতে সে মারা যায়।
এমনটি দাবী করেছেন হতদরিদ্র নিহত জলিলের পরিবার। জানা যায়, দীর্ঘ সময়
নিখোঁজ থাকা কালে টেকনাফ থানায় ওসি প্রদীপের টর্চার সেলে মুখ বেঁধে
ব্যাপক মারধর ও ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়া হতো,এবং বিভিন্ন মাধ্যমে আব্দুল জলিলের পরিবারের নিকট খবর পাঠানো হতো টাকার জন্য।কিন্তু তার পরিবার হতদরিদ্র হওয়ার কারণে ওসি প্রদীপের দাবীকৃত টাকা দিতে পারেনি।অবশেষে টাকা দিতে না পেরে, পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারালো অসহায় সিএনজি চালক আব্দুল জলিল। হত্যার পরে পুলিশ তার পরিবারকে লাশ ফেরৎ দেন বলে জানিয়েছেন নিহতের পরিবার।