সকল বেলা সূর্য কে বাঁচাতে জীবন বাজি।কার সূর্য বাঁচলে অনেকেই আলো পাবে।বিকেল বেলাতে অবহেলার অবেলা।আমি তো একা ,নীরবে,আমার ভূলে অন্ধকার?না নিমজ্জিত কুপে?না দুর্গন্ধ যুক্ত শৈচাগার এর মত নাক সিটকে সবাই। কারন আমি পারিনি কিছু একটা?দুনিয়ার যত অন্ধকার আর অবহেলা আর গর্ধভ দের কলংক নিতে হবে আমাকে।
আমার কাছে এটাই মৃত্যু যন্ত্রতা।এ তো একা নিতে পারছি না।আমার জুরিদার কেউ আসবেন, ভাগ নিন?জীবিত কলংক আর কাগজে ধরছে না।
এ কেমন বিধি অবশেষে ভিলেন আমার আমি!
কারন:
আমি পুলিশ ।নাচ গান কিছু ই পারি না।হাতের লেখাও জঘন্য!তাই তো লেখাও কেউ পড়ে না,।টাইপ করে লিখলাম যাতে দোষ হয় কি বোর্ডের।
আর কমেন্ট স তো করবে না কেউ কারন এখন আমি তো সাত তাল পানির নীচে ।নিজেই মরি মরি!
হয়ত কেউ পড়বে না ।বাজারে লাখ লাখ নামী দামী উপন্যাস, গল্প, কবিতা, ছড়া। কিন্তু আপনার দাম লেখা র মাঝে ও শেষে।নগদ পেতে হলে কয় লাইন পড়বেন আপনার ব্যাপার ।
আর পুলিশ হলে তো ৩৬ বার রিডিং দিবেন দাম জানতে
রাষ্ট্রীয় উপাদান সরকার, সার্বভৌমত্ব, ভূখণ্ড, জনসমষ্টি। অনেক রাষ্ট্র আছে সরকার ছাড়া, সার্বভৌমত্ব ছাড়া, ভূখণ্ড ছাড়া। কিন্তু মানব ছাড়া কোন রাষ্ট্র নাই, ছিল না, হবে না।
মানবকে তার মত চলতে দিলে চলার লাগাম ধরতেও লাগবে অন্য মানবদের। লাগবে প্রহরী, গাইড। লাগবে বিধির বিধিমালা ধরে রাখার জন্য মানব, মানব সমষ্টি। এভাবেই রাষ্ট্র আবিষ্কার করেছে পুলিশ। পুলিশ সৃষ্টির ইতিহাস সে আরও ৫০০ পাতা বা পুস্তকের।
আমি সে জনম ইতিহাসের একজন। সকল বিভাগই দরকার রাষ্ট্রের সাজ সৌন্দর্যের জন্য। দ্বিমত নাই। চার ধাপ পার হলেও পরবর্তী ধাপে রাষ্ট্র ডাকে পুলিশকে।
এটি আমার মতে ৫ম মার্ক লাইন। আমি সে লাইনের একজন অধম মার্কার। A country may go several days without food, But not for a days even minutes without police. এটা এই মুহূর্তে কল্পনা করলেও বাস্তবতা জানা যাবে।
অনেক দিন না খেয়ে, পরিবার অসুস্থ রেখে, ঝড়ে নিজের বাড়ি উড়ে যাওয়ার খবর শুনে, মা বাবার হাসপাতালে ভর্তির খবর শুনে, সন্তানের অসুস্থতায় মাথায় পানি না ঢেলে, স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রণা কানে নিয়ে অস্ত্র ধরেছি সন্ত্রাসীর দিকে, বাড়ি পাহারা দিয়েছি ক্ষুদার জ্বালা নিয়ে, অন্যের নিরাপত্তার জন্য অস্ত্র ধরে দাঁড়িয়ে থেকেছি সারারাত। বিবাহের দিন জামাই সেজে ডিউটি করেছি আরেক জনের বিবাহের নিরাপত্তায়। আত্মীয়ের জানাযার সময় সুরৎহাল করেছি অনেক দিন। নিজের সন্তানকে স্কুলে নেওয়ার সময় অন্যের সন্তানের স্কুলের গেটে নিরাপত্তা ডিউটি। নিজে না খেয়ে অন্যের খাবারের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলাম বহু দুপুর, বহু ডিনার, বহু নাসতার সকাল। এমনি কত রাত-দিন সময়।
এখনও বাদীর পক্ষে গেলে আসামি, আসামির পক্ষে গেলে বাদী, রহিমের পক্ষে গেলে করিম, করিমের পক্ষে গেলে রহিম ঘুষের অভিযোগ তোলে। এখনও সন্ত্রাসীকে আত্মরক্ষার্থে গুলি করলে হত্যার কলংক আর ৭০০০ পৃষ্ঠার রিপোর্ট দিতে হয়। এখনও সন্ত্রাসীকে গুলি না করে নিজে গুলি খেয়ে মরলে নাটকের নায়ক বলা হয়। অবসরে ছেলের ধান বিক্রির টাকা দিয়ে স্বাক্ষী দিতে হয়।
বন্ধুদের চায়ের বিল দিলে বলে ঘুষের টাকা দিবাই তো, না দিলে বলে পুলিশ কিপটা। এখনও অন্যের মাতাল ছেলেকে ধরলে ধন্যবাদ আর নিজের মাতাল ছেলেকে ধরলে বলে ভদ্রলোক লোককে অপমান, চাকরি খেয়ে নেব। না হলে থানা ঘেরাও স্মারক লিপি ৩৬ জায়গাতে অভিযোগের কপি, তিনবেলা সাংবাদিক সম্মেলন।
সবাই কিন্তু না। তাহলে তো কোনদিন উপন্যাস শেষ হত না। নাটক গান সময় মত শেষ হত না। পৃথিবীর ঘোড়াঘুড়ি চলতো না। কিছু খারাপ তো সব খানেই, এখানেও আছে। কিন্তু তার দাম কত?
এমনি করে প্রতিদিন বাজারে নিজের দাম যাচাইয়ের মধ্যে ৩৬ বছর। ধার্য মূল্য, বিক্রয় মূল্য, ক্রয় মূল্য,পুনঃবিক্রয় মূল্য কোনটাই ঠিক পাওয়া যায় না। সর্বমোট মূল্য পঁচিশ পয়সা হলেও বিক্রয় মূল্য ২৪.১৪ পয়সা। যা ভাঙানো যায় না তাই বিক্রয়ও হয় না মানে কি? মানে পরিষ্কার রিসেল ভেলু নাই। আর এভাবেই কিছু অবিচারে কিছু সাজানো ফাঁদে ক্লোজ, সাসপেন্ড, বদলি।আর কারাগার তো অপেক্ষায় থাকে সব সময়।
সত্য পরে যাচাই হয়। ঠিক হলে তো সবার কাছেই ঠিক। না হলে তো এটাই ঠিক। ‘বাজারে যাচাই করে দেখিনি তো দাম, সোনা কিনিলাম নাকি রং কিনিলাম?
রং কারো গায়ে লাগলে অনেক দিন দেখা যায় ।পুলিশের কাজ ই তাই ।আপনাকে বহুদিন মনে রাখা ,নজরে রাখা ,
আর দিন শেষে নদীর পানি থেকে সাগরে ডুবে যাওয়ার প্রতিযোগিতা করা ।
শুধু তখন একা !!কেউ থাকবে না । থাকবে শুধু ঐ কদম গাছ!
ইমাউল হক পিপিএম
ইনটেলিজেন্স ইন্সপেক্টর
১৪ এপিবিএন কক্সবাজার