বেলাল আজাদ:
উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম পাইন্যাশিয়ার ২ সন্তানের জননী অসহায় আয়েশা বেগম (২৭) লম্পট, নারীলোভী তথা বউ পাগল স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ন্যায় বিচার ও স্বামীর শাস্তি চেয়ে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। অত্যাচারিত আয়েশা বেগম একই ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাইছড়ি গ্রামের দিন মজুর ফকির আহমদের কন্যা এবং তার অত্যাচারী স্বামী হলদিয়াপালং ইউনিয়নের রুমখাঁ বড়বিল গ্রামের মৃত সুলতান আহমদের পূত্র নূরুল হক (৩০)। সম্প্রতি নির্যাতিত আয়েশা বেগম বাদী হয়ে তার অত্যাচারী স্বামী নূরুল হকের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় (উখিয়া) আমলী আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় সি.আর.-১৩৫/২০২০ নং মামলা দায়ের করায় আসামী নূরুল হকের অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। ভূক্তভোগী আয়েশা জানান, মামলাটি দায়ের করার পর থেকে এলাকার কিছু ভূমিদস্যূ সন্ত্রাসী লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে তার অত্যাচারী স্বামী নূরুল হক তাকে কয়েক বার হত্যাচেষ্টা সহ মারধর করে এবং প্রতিনিয়ত মেরে ফেলার অপচেষ্টা ও প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া নিজের বসতঘর থেকে তাড়িয়ে দিয়ে নিজের বসত ভিটার ভিলেজারী জমিটুকু অন্যত্র বিক্রি করে দেওয়ার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। আয়েশার মা ভিউলা খাতুন জানান, ২০১৫ সালে তার অপ্রাপ্ত মাত্র ১২ বছর বয়সের কন্যা আয়েশা বেগম কে নূরুল হক জোর পূর্বক অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে জোর-জবরদস্তিতে ও বিয়ের আশ্বাসে অন্যান্য ৩ ভাইয়ের সহযোগীতায় নূরুল হক ধর্ষণ সহ পালাক্রমে এক এক স্থানে স্বামী-স্ত্রীর ন্যায় দৈহিক মেলামেশা করতে থাকার ফলে সাইমা (বর্তমান বয়স ৪ বছর) ও হৃদয় (বর্তমান বয়স ১০ মাস) নামের ২ সন্তানের জন্ম হলেও তাকে প্রচলিত নিয়মে বিয়ে করেনি, দেয়নি কোন কাবিননামা এমনকি ইসলামী শরীয়ত মতে কোন মৌলবী দিয়ে বিয়ের আকদ্ পর্যন্ত পড়ায়নি! এ বিষয়ে ইতিপূর্বে তিনি মামলার প্রস্তুতি নিলে ও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারী নূরুল হক আত্মরক্ষার্থে রেজিঃযুক্ত-১১২/২০২০ নং কাবিননামা দেয়, কিন্তু কাবিননামা দেওয়ার পর থেকেই যৌতুক সহ বিভিন্ন অনৈতিক দাবীতে আয়েশার উপর অত্যাচারের মাত্রা বেড়েই চলতে থাকে। বর্তমানে তার অত্যাচারে অতিষ্ট আমার অসহায় মেয়ে ২ শিশু সন্তান নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে।
এলাকার ইউপি মেম্বার মনির আহমদ জানান, তিনি বিষয়টি জানতেন না, তবে এখন জানার পরে খোঁজখবর নিয়ে যা করণীয় ব্যবস্থা নিবেদন। উখিয়া থানার ও.সি (তদন্ত) মোঃ নূরুল ইসলাম মজুমদার জানান, আয়েশা বেগমের দায়েরকৃত মামলাটি বিজ্ঞ আদালতের আদেশ মতে তদন্তাধীন আছে। ইতিমধ্যে যদি আসামী বাদীকে কোনরূপ অত্যাচার করে সে বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্যাতিত আয়েশা বেগম সমাজের গণ্যমান্য লোকজন ও জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নিকটা তার স্বামীর অত্যাচার থেকে রেহাই ও জীবনের নিরাপত্তা পেতে সকলের সহযোগীতা চেয়েছেন