আলোকিত ক্রাইম প্রতিবেদক:
মায়ানমার থেকে আসা মাদক দ্রব্য মরন নেশা ইয়াবার সর্গরাজ্য কক্সবাজারের টেকনাফ। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এখানকার ঘরে ঘরে বিস্তার লাভ করেছে ইয়াবা ব্যবসা। যেমনটি ভাগ্য পরিবর্তন করেছে অনেক দিন মজুর, ড্রাইভার, শ্রমিক,খেটে খাওয়া মানুষ, তেমনি ইয়াবার ব্যবসা থেকে বাদ পড়েন নাই এলাকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিরাও!
সরকারি বেসরকারী গোয়েন্দা সংস্থার অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে জানাযায়, অত্র এলাকার অনেক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও জনপ্রতিনিধিদের হাত ধরে মরণব্যাধি এ মাদকের বিস্তার ঘটেছে টেকনাফ, কক্সবাজার সহ সারা বাংলাদেশে। এদের কেউ কেউ ইয়াবা ব্যবসায়ীদের গডফাদার। আবার বড় একটা অংশ সরাসরি এই মাদকের ব্যবসার সঙ্গেই জড়িত। তাদের মধ্যে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ শাহ আলম অন্যতম।
ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে বহুবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে ফাকি দিয়ে ইয়াবা পাচার করলে ও ২০১২ সালের ২২ ডিসেম্বর হোয়াইক্যং মিনা বাজার এলাকার হালিমা, রোকসানা নামের দুই নারী ও আবদু শুক্কুর নামের সহযোগীকে নিয়ে শাহ আলম মেম্বার ইয়াবা বিক্রির উদ্দেশ্যে টেকনাফ থেকে গ্রীণ লাইন পরিবনের বিলাশ বহুল বাস যুগে ঢাকা যাচ্ছিল। ভাগ্য জোরে টেকনাফ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব কটি চেকপোষ্ট পেরিয়ে গেলেও বিধিবাম ছাড়েনি তার পিছু, ঢাকা চট্রগ্রাম হাইওয়ে রোডের মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়স্থ জেএনআই পেট্রোল পাম্পের পাশে পুলিশের চেকপোস্টে তাদের তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা সহ শাহ আলম মেম্বার ও তার ৪ সহযোগীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মাদক আইনে মামলা দায়ের করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। দীর্ঘদিন কারা ভোগের পর তারা জামিনে মুক্তি পায়।
জামিনে মুক্ত হয়ে আবারো সক্রিয় মাদক কারবারে সক্রিয় হয়ে উঠে শাহা আলম মেম্বার ।পরে ২০১৯ সালের রমজানে শাহা আলম মেম্বার কে হোয়াইক্যং মিনা বাজার সংলগ্ন তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আবারও মাদক দ্রব্য ইয়াবা সহ আটক করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর পরেও দীর্ঘদিন জেল হাজতে থাকার পর মুক্ত হয়ে আবারও সক্রিয় ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে তার মরন নেশা ইয়াবার ব্যবসা!
এ বিষয়ে শাহা আলম মেম্বার থেকে জানতে চাইলে প্রতিবেদককে তিনি জানান “আমি ইয়াবা ব্যবসা করিনা এগুলা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে” ২০১২ সালে নারায়ণ গঞ্জ ১৮ সালে টেকনাফের মামলা ও জেল হাজতে থাকার বিষয়ে জানতে ছাইলে বলেন “এগুলা আমাকে দুষমনি করে ডুকায় দিছিল যে”
এ বিষয়ে জানার জন্য হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মৌলানা নুর আহাম্মদ আনোয়ারী কে মোবাইল ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি। টেকনাফ থানা জানান, আগামী ১৬ ডিসেম্বর মাদক মুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকারে দৃড় সরকার। কোন মাদক কারবারী রেহাই পাবেনা। সে যেই হোক ধরা পড়তেই হবে।